চাঁদের উপর একাকী: একটি অসাধারণ গল্প
গল্পটি শুরু হয় উয়ে নামের একজন মানুষ দিয়ে, যে রকেটে চড়ে চাঁদে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই পাই নামের একটি বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। এটি সেই গ্রহাণুর চেয়েও বড় ছিল, যা ডাইনোসরদের বিলুপ্ত করেছিল। এই বিপদ থেকে বাঁচতে মানুষরা একটি পরিকল্পনা করে। চাঁদে যে স্পেস স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল, সেটি ছিল এই পরিকল্পনার অংশ। সেখানে বেশ কিছু আধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্র ছিল, যেগুলোর সাহায্যে গ্রহাণুটি ধ্বংস করে তার ধ্বংসাবশেষ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
৮ বছর পরিশ্রমের পর মানুষ এই মিশনে সফল হয়। উয়ে এবং তার দল পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু ফিরে আসার আগে উয়ে তার কমান্ডার জিংকে তার ভালোবাসার কথা জানাতে চায়। সে তার রুমে গিয়ে হেডফোনে গান শুনতে শুনতে একটি প্রেমপত্র লিখতে শুরু করে। ঠিক তখনই জু নামের একজন নভোচারী কমান্ডার জিংকে একটি খবর দেয়। তাদের অস্ত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে এবং আগামী আধা ঘন্টার মধ্যে পাই গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষ চাঁদে আছড়ে পড়বে।
এই খবর পেয়ে কমান্ডার জিং立刻 স্পেস স্টেশন খালি করার নির্দেশ দেয়। সবাই দ্রুত তাদের রকেটের দিকে ছুটতে থাকে। কিন্তু উয়ে তখনও তার প্রেমপত্র লিখতে ব্যস্ত ছিল এবং হেডফোনের কারণে কোনো সতর্কতা শুনতে পায়নি। কিছুক্ষণ পর সে প্রথম রকেটটি দেখতে পায় এবং দ্রুত স্টেশনের দিকে ছুটতে থাকে। তখন সেখানে ছয়টি রকেট ছিল, কিন্তু হঠাৎ পাঁচটি রকেট একসাথে উড়ে যায়। উয়ের হাতে শেষ একটি রকেট থাকে।
উয়ে তার দলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। শেষ উপায় না দেখে সে তার রোভার দ্রুত চালাতে শুরু করে। কিন্তু পথে একটি বড় গর্তের কারণে তার রোভার গর্তে পড়ে যায়। যখন সে গর্ত থেকে বের হয়, তখন শেষ রকেটটিও উড়ে গেছে। এর মধ্যে গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষ চাঁদে পড়তে শুরু করে। উয়ে একটি গর্তে লুকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কিছু ধ্বংসাবশেষ সেখানে পড়ে তাকে অজ্ঞান করে দেয়।
যখন উয়ে জ্ঞান ফিরে পায়, সে মনে করে পৃথিবী থেকে তাকে খুঁজে বের করা কঠিন হবে না। কিন্তু হঠাৎ একটি বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করে এবং পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়। পরের ছয় মাস উয়ে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত সে তার ভাগ্য মেনে নেয়। সৌভাগ্যবশত, তার কাছে খাবার ও পানি পর্যাপ্ত ছিল। সবাইকে শ্রদ্ধা জানানোর পর উয়ে তার ইচ্ছাগুলো পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার প্রথম ইচ্ছা ছিল কমান্ডার জিংয়ের রুমে কিছু সময় কাটানো, কিন্তু সে পাসওয়ার্ড জানত না। তার দ্বিতীয় ইচ্ছা ছিল চাঁদের পৃষ্ঠে সার্ফিং করা। শুরুতে সে বারবার পড়ে গেলেও কয়েক দিন চেষ্টার পর সে সার্ফিং করতে সক্ষম হয়। কিন্তু জিংয়ের রুমের পাসওয়ার্ড সে পায়নি। রাগান্বিত হয়ে সে দরজাটি উড়িয়ে দেয় এবং জিংয়ের একটি ছবির সাথে ডেটে যায়। দুর্ঘটনাবশত ছবিতে কেচাপ পড়ে এবং সে ছবিটি চুম্বন করে। কিন্তু সে জানত না যে স্পেস স্টেশনের পুরো দল তাকে দেখছে। জিং এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়, কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে সে শুধু উয়েকে দেখতে পাচ্ছিল। যেহেতু উয়ে কোনো বিপদে নেই, তাই জিং তার উদ্ধার মিশন বাতিল করে দেয়।
এরপর চেয়ারম্যান সিং সবাইকে জানায় যে সরকার উয়ের নতুন জীবনকে বিশ্বের সামনে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর ৩০% জমি জলে ডুবে গেছে এবং সবাইর জীবন বদলে গেছে। সরকার চায় উয়ের মাধ্যমে মানুষদের মধ্যে নতুন আশা জাগাতে। কিন্তু নভোচারী জু মনে করে উয়ে এই কাজের যোগ্য নয়। জিং তাকে বলে যে তারা উয়ের কণ্ঠস্বর ডাব করে বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে, যাতে তারা তাদের ইচ্ছামতো কথা বলাতে পারে। এরপর সিং রেডিওর মাধ্যমে উয়ের একটি মিথ্যা গল্প বলে, যেখানে উয়ে ক্রু মেম্বারদের বাঁচাতে তার সিট ছেড়ে দিয়েছে বলে বলা হয়। জিং বিশ্বকে উয়ের নতুন জীবনের সম্প্রচারের কথা জানায়।
১৯৬ দিন পর উয়ে একটি ওষুধ নিতে গুদামে যায়। হেডকোয়ার্টারে উয়ের কণ্ঠস্বর ডাব করার জন্য ফ্লুটিস্ট নামের একজন ভয়েসওভার শিল্পী আসে। কিন্তু উয়ে গুদামে একটি নতুন ও অচেনা জিনিস দেখে, যা সে প্রথমে একটি মেয়ে মনে করে কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখে এটি একটি পুষ্ট ক্যাঙ্গারু। ঠিক তখন লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয় এবং ক্যামেরা সরাসরি ক্যাঙ্গারুর মুখে চলে যায়। ফ্লুটিস্ট ক্যাঙ্গারুর ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে ডাবিং শুরু করে। জিং তাকে থামানোর চেষ্টা করে, কিন্তু অনেকেই এটি দেখে ফেলে। এই ভুলের জন্য জিং এবং জুকে চেয়ারম্যানের সামনে হাজির হতে হয়। তারা জানায় যে তাদের গবেষণা দল ক্যাং নামের ক্যাঙ্গারুটিকে বেস স্টেশনে রেখে এসেছে। ফ্লুটিস্ট আসলে একজন ইনফ্লুয়েন্সার, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জিনিসের ভয়েসওভার করেন। এই ভুলের পর জিং সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা ভিডিও ডাবিং করার বদলে একটি গল্পের মতো করে বলবে।
এরপর উয়ে ক্যাংকে কাছে পেতে একটি মহিলা ক্যাঙ্গারুর রূপ নেয়। কিন্তু ক্যাং যখন তার আসল রূপ বুঝতে পারে, তখন সে উয়েকে মারতে শুরু করে। ফ্লুটিস্ট এটি দেখে জোরে জোরে হাসতে থাকে। জিং সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয় এবং জানায় যে স্পেসশিপে ক্যাং এবং উয়ের মধ্যে একটি লড়াই হতে চলেছে। সবাই মনোযোগ দিয়ে লড়াইটি দেখে, কিন্তু ক্যাং তার শক্তি দেখিয়ে উয়েকে অজ্ঞান করে দেয়। জিং উয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে এবং উয়ে যখন জ্ঞান ফিরে পায়, তখন সে কমিউনিকেশন চ্যানেলে লাইন দেখে খুশিতে কেঁদে ওঠে। সে জানত না যে পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে আছে।
উয়ে এবং ক্যাং একটি ভাঙা অ্যাপোলো ১৮ এর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে তারা লুনার স্টেশনে পৌঁছাতে পারে। সেখানে একটি রকেট আছে, যা তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। উয়ে লুনার ডগ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, যা তাকে সাহায্য করতে পারে। এরপর উয়ে স্পেসক্রাফ্টটি পুনরায় তৈরি করতে শুরু করে, যা দেখে সবাই অবাক হয়। জিং তার ফাইল চেক করে জানতে পারে যে উয়ে আসলে একজন ফ্লাইট ডায়নামিক্স ইঞ্জিনিয়ার, যিনি মেইনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করছেন। ২৮২তম দিনে উয়ে জানায় যে তাদের ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে রোভারের ওজন সীমা আছে এবং তাকে ক্যাংকে ছেড়ে যেতে হবে। কিন্তু ক্যাং তাকে জোর করে ফিরিয়ে আনে। উয়ে মনে পড়ে যে তারা একটি অস্ত্রকে প্রোটোটাইপ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, যদিও এটি খুব বিপজ্জনক। ক্যাং এই কাজে তার সাথে থাকতে রাজি হয়।
জু সবাইকে বলে যে এই কাজ সম্ভব, কিন্তু সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে তাদের বেসে ফিরে আসা খুব কঠিন হবে। প্রোটোটাইপ ইঞ্জিন সৌর শক্তিতে চলে এবং চাঁদের একটি দিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। উয়ে সূর্যের আলোর দিকে গাড়ি চালাতে থাকে, কারণ চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় সে মারা যাবে। জিং বুঝতে পারে যে উয়ে সূর্যের পিছনে ছুটছে, যাতে তার কাছে ৪১ দিন সময় থাকে। কিন্তু ২৮তম দিনে উয়ে এবং ক্যাং ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারা একে অপরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নেয়। কয়েক দিন ধরে গাড়ি চালানোর পর তারা ইঞ্জিনে পৌঁছায়। ক্যাং একটি বাটন চাপতে শুরু করে, যা আসলে ইঞ্জিন চেক বাটন। উয়ে তাকে ভিতরে বন্ধ করে দেয়।
তারা বেসে ফিরে যাওয়ার পথে ক্যাংয়ের ক্যাব ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে যায়। উয়ে জানত যে যদি সে ক্যাংকে নিতে ফিরে যায়, তবে সূর্যের আলো হারিয়ে যাবে। সে ক্যাংকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফিরে যায় এবং ক্যাংকে খুঁজে পায়। কিন্তু সব হিসাব অনুযায়ী, তারা সময়মতো ফিরে আসতে পারবে না। জিং সবাইকে লুনার ডগ খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয়, যাতে তার ব্যাটারি দিয়ে উয়ে বেসে ফিরে আসতে পারে। উয়ে এবং ক্যাং ক্লান্ত হয়ে পড়ে, এবং তাদের ব্যাটারি মাত্র ৫ ঘন্টার জন্য থাকে। হঠাৎ লুনার ডগ সক্রিয় হয়, কিন্তু পাওয়ার সেভিং মোডে থাকায় সে তাদের খুঁজে পায় না। বেস থেকে ৫৫ কিমি দূরে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে উয়ে এবং ক্যাংকে শিপ থেকে বের হতে হয়। জু লুনার ডগের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং উয়ের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে, কিন্তু পথে ব্যাটারি শেষ হয়ে লুনার ডগ একটি বড় গর্তে পড়ে যায়। সবাই হতাশ হয়।
উয়ে এবং ক্যাং তারার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে থাকে। হঠাৎ উয়ে জিংয়ের কথা মনে করে এবং ক্যাং একটি কাঁচের প্রতিফলনের পিছনে ছুটতে থাকে। উয়ে একটি স্লেজ বানিয়ে ক্যাংয়ের পিঠে বাঁধে এবং তার সার্ফিং দক্ষতা কাজে লাগায়। তারা দ্রুত এগিয়ে যায়, কিন্তু একটি বড় গর্তের সামনে পড়ে। উয়ে নাইট্রোজেন ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে গর্তটি পাড় হয়। সবাই খুশি হয় এবং নতুন আশা জাগে। উয়ে তার বীরত্বের জন্য পৃথিবীতে অনেক সম্মান পায়। চেয়ারম্যান তাকে নিতে আসেন। জিং চেয়ারম্যানকে বলে যে আগামী তিন মাসে কমিউনিকেশন লাইন ঠিক হবে, এবং তারা উয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।
ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হতে থাকে, কিন্তু কেউ জানত না যে পাই গ্রহাণুর একটি বড় অংশ এখনও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। উয়ে এবং ক্যাং খেলতে থাকে, এবং ক্যাং কিছু তারে স্পর্শ করে। উয়ে স্ক্রিনে কিছু সিগন্যাল দেখে এবং মনে করে যে পৃথিবীতে কেউ বেঁচে নেই। সে হতাশ হয়ে পড়ে। জিং কমিউনিকেশন লাইন ঠিক করার কাজ শুরু করে। কিছু দিন পর উয়ে ক্যাংয়ের জন্য একটি মহিলা ক্যাঙ্গারুর খেলনা তৈরি করে এবং নিজেকে শেষ করার জন্য শিপ থেকে বেরিয়ে যায়। জিং পৃথিবীকে বলে যে উয়ে কী অনুভব করছে এবং সবাইকে তাদের ফোনের ফ্ল্যাশলাইট চাঁদের দিকে ঘুরাতে বলে। উয়ে যখন হেলমেট খুলতে যায়, তখন সে পৃথিবী থেকে আসা আলো দেখে এবং কাঁদতে থাকে। সে বেসে ফিরে গিয়ে কমিউনিকেশন বাটন চালু করে এবং সবাইকে শুনতে পায়। তারা তাকে লাইভ স্ট্রিমিং সম্পর্কে বলে, কিন্তু উয়ে কিছু বলে না। সবাই জিংকে তার সামনে দাঁড় করায়, এবং জিংয়ের "হ্যালো" শুনে সে খুশি হয়।
কয়েক দিন পর ইঞ্জিনিয়াররা উয়ের স্পেসক্রাফ্ট ঠিক করতে সাহায্য করে। উয়ে শুধু জিংকে দেখলে খুশি হয়। শেষ পর্যন্ত স্পেসক্রাফ্ট প্রস্তুত হয়, এবং এক রাতে উয়ে জিংয়ের সাথে একান্তে কথা বলার সুযোগ পায়। সে জিংকে বলে যে সে মেইনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টে শুধু তার জন্য যোগ দিয়েছিল। জিংও তাকে বলে যে সে রকেটে উঠার সময় উয়েকে দৌড়াতে দেখেছিল, কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করতে পারেনি।
এরপর উয়ে এবং ক্যাং তাদের বাড়ি ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত হয়। তাদের দলের সাহায্যে তারা স্পেসক্রাফ্ট সফলভাবে লঞ্চ করে। উয়ে এবং ক্যাং চাঁদে ৯২৩ দিন কাটানোর পর স্পেস স্টেশনে পৌঁছায়। জু একটি জরুরি মিটিং ডেকে সবাইকে পাই গ্রহাণুর বড় অংশ সম্পর্কে বলে, যা দ্রুত তাদের দিকে আসছে। চেয়ারম্যান বলেন যে শুধুমাত্র একজন মানুষই তাদের বাঁচাতে পারে, কারণ তার জাহাজের ইঞ্জিন নিজেই একটি অস্ত্র। সেই মানুষটি উয়ে। জিং কন্ট্রোল রুমে গিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে দেয়। উয়ে হেডফোনের মাধ্যমে তাদের কথা শুনে ফেলে এবং জানতে পারে যে তাকে মিসাইল দিয়ে গ্রহাণুটি ধ্বংস করতে হবে এবং মিসাইল সক্রিয় হওয়ার আগে তাকে তার স্পেসক্রাফ্টে ফিরে আসতে হবে। এই মিশনে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম, কিন্তু উয়ে এই কাজ করতে রাজি হয়। সে জিংকে বলে যে যদি সে মারা যায়, তবে সে যেন তার জন্য কাউকে খুঁজে নেয়।
উয়ে ক্যাংকে তার সিটে বেঁধে দেয়, যাতে সে নিরাপদে পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু ক্যাং তার বন্ধুর সাথে থাকতে চায়। তারা আলাদা হওয়ার পর উয়ে অনেক পাথরের মুখোমুখি হয় এবং একটি পাথরে ধাক্কা খেয়ে তার স্পেসক্রাফ্ট ঘুরতে শুরু করে। উয়ে একটি কম্পার্টমেন্ট আলাদা করে মিসাইল ঠিক করে, কিন্তু ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। জিং তাকে বলে যে পাই গ্রহাণুটি তার কাছ দিয়ে যাবে এবং সে উয়ের বলি দিতে চায় না। উয়ে তাকে পৃথিবী বাঁচানোর কথা মনে করিয়ে দেয় এবং জাহাজটি গ্রহাণুর দিকে ঘুরিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করতে বলে। সে মিসাইল আলাদা করে সবাইকে ধন্যবাদ জানায় এবং বলে যে সে সবসময় ভাবত যে হয় সামনের লোকেরা মরবে, নয় পিছনের লোকেরা। কিন্তু আজ সে পৃথিবী এবং গ্রহাণুর মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। সে জিংয়ের প্রিয় গান গাইতে গাইতে গ্রহাণুর দিকে এগিয়ে যায়। জিং মিসাইলের বাটন চাপতে ব্যর্থ হয়, এবং উয়ে তাকে তার দায়িত্ব মনে করিয়ে দেয়। কিছু সেকেন্ড পর একটি বিশাল বিস্ফোরণ হয় এবং গ্রহাণুটি ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায়।
১০ বছর পর পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে ওঠে। স্পেস প্রোগ্রামের নতুন চেয়ারম্যান লুসি সবাইকে বলে যে মানুষ আবার চাঁদে যাবে। জিংও চাঁদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, যেখানে পৌঁছে সে উয়ের স্মৃতি দেখে। সে তার একটি সহকর্মীর সাথে পৃথিবীকে দেখে এবং বলে যে ১০ বছর আগে বিস্ফোরিত গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষ আজ পৃথিবীর চারপাশে একটি রিং এর মতো ঘুরছে, যা তাদের সবসময় মুন ম্যানের কথা মনে করিয়ে দেবে।