ঘূর্ণিঝড় শক্তি: মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে সম্ভাব্য তাণ্ডব ও আগাম সতর্কতা

 এপ্রিল মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা না ঘটলেও, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশের মতে, ২৪ থেকে ২৬ মে'র মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়টি গঠিত হতে পারে, যার সম্ভাব্য নাম "শক্তি"। এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।



ঘূর্ণিঝড় শক্তি: সম্ভাব্য গঠন ও গতিপথ

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশের ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী, ১৬ থেকে ১৮ মে'র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ হয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৩ থেকে ২৮ মে'র মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা ও চট্টগ্রামে বেশি তাণ্ডব চালাতে পারে।

প্রস্তুতি ও সতর্কতা

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় শক্তি উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি ও জলচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। এতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে। স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


উপকূলীয় জনগণের করণীয়

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আপডেট ও সতর্কতা অনুসরণ করুন। 

স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। 

প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী প্রস্তুত রাখুন। 

মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন।


ঘূর্ণিঝড় শক্তি এখনো সৃষ্টি না হলেও, আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গঠিত হতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে আগাম সতর্কতা অবলম্বন ও প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: ঘূর্ণিঝড় শক্তি কবে গঠিত হতে পারে? 

উত্তর: আবহাওয়াবিদদের মতে, ২৪ থেকে ২৬ মে'র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় শক্তি গঠিত হতে পারে। 

প্রশ্ন ২: কোন অঞ্চলগুলোতে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব পড়তে পারে? 

উত্তর: ভারতের উড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব পড়তে পারে। 

প্রশ্ন ৩: উপকূলীয় জনগণ কীভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে? 

উত্তর: আবহাওয়া অধিদপ্তরের আপডেট অনুসরণ, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলা, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি, এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত রাখা উচিত। 


বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তথ্যসমূহ আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশের পূর্বাভাস ও বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.